ভারতীয় সেনাবাহিনী অগ্নিবীর নিয়োগ ২০২৫-এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট -এ গিয়ে তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক নিয়োগ অফিসের অধীনে বিভিন্ন পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার শেষ তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২৫।
নিয়োগের বিবরণ:
অগ্নিবীর নিয়োগ প্রক্রিয়ার অধীনে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে জেনারেল ডিউটি, টেকনিক্যাল, ক্লার্ক/স্টোর কিপার টেকনিক্যাল এবং ট্রেডসম্যান সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় লিখিত পরীক্ষা, শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা (PFT), শারীরিক মাপজোখ পরীক্ষা (PMT) এবং মেডিকেল পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
- অগ্নিবীর জেনারেল ডিউটি (জিডি): ৪৫% নম্বর সহ মাধ্যমিক (দশম) পাশ। প্রতিটি বিষয়ে কমপক্ষে ৩৩% নম্বর থাকতে হবে।
- অগ্নিবীর টেকনিক্যাল: পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং ইংরেজি বিষয়সহ উচ্চমাধ্যমিক (দ্বাদশ) পাশ, যেখানে মোট ৫০% নম্বর এবং প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৪০% নম্বর থাকতে হবে।
- অগ্নিবীর ক্লার্ক/স্টোর কিপার টেকনিক্যাল: ৬০% নম্বর সহ উচ্চমাধ্যমিক পাশ। ইংরেজি এবং গণিতে ন্যূনতম ৫০% নম্বর প্রয়োজন।
- অগ্নিবীর ট্রেডসম্যান (দশম পাশ): মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৩৩% নম্বর সহ উত্তীর্ণ।
- অগ্নিবীর ট্রেডসম্যান (অষ্টম পাশ): অষ্টম শ্রেণি পাশ এবং প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৩৩% নম্বর প্রাপ্ত।
বয়সসীমা:
সকল পদের জন্য আবেদনকারীর বয়স ১৭½ থেকে ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে। অর্থাৎ, প্রার্থীর জন্ম ১ অক্টোবর ২০০৪ থেকে ১ এপ্রিল ২০০৮-এর মধ্যে হতে হবে (উভয় দিনই অন্তর্ভুক্ত)।
আবেদন ফি: অগ্নিবীর নিয়োগের জন্য আবেদনকারী সমস্ত প্রার্থীদের ২৫০ টাকা অনলাইন পরীক্ষার ফি দিতে হবে। কোন শ্রেণীর আবেদনকারীদের পরীক্ষার ফি ফেরত দেওয়া হবে না।
আবেদন পদ্ধতি:
সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://youtu.be/75nBWcv0Wo0 -এ যান।
নিবন্ধন করুন এবং একটি প্রোফাইল তৈরি করুন।
হোম পেজে দেওয়া https://youtu.be/75nBWcv0Wo0 লিঙ্কে ক্লিক করুন।
লগইন করুন এবং আবেদন ফর্মটি পূরণ করুন।
প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন এবং ফি প্রদানের পরে আবেদন জমা দিন।
নির্বাচন প্রক্রিয়া:
নির্বাচন প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে:
অনলাইন কমন এন্ট্রান্স এক্সাম (সিইই): কম্পিউটার-ভিত্তিক অনলাইন পরীক্ষা, যা ১৩টি ভিন্ন ভাষায় পরিচালিত হবে। পরীক্ষা হবে বস্তুনিষ্ঠ, যাতে থাকবে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন।
শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা (PFT) এবং শারীরিক মাপজোখ পরীক্ষা (PMT): লিখিত পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।
মেডিকেল পরীক্ষা: শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হবে।
আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করুন।


Leave a Reply